১৫ জন প্রবাসী বাংলাদেশী কে আটক করেছে বিয়েতনামে পুলিশ এই ১৫ জন প্রবাসী সবাই দালালের মাধ্যমে ভিয়েতনামে প্রবেশ করেন এবং সবাই প্রতারিত হয়েছেন, অনেক দিন একসাথে থাকার পর সবাই মিলে একসাথে হয়ে ভিয়েতনামে থাকা বাংলাদেশ দূতাবাসের দিকে যাচ্ছিলেন হঠাৎ যাত্রা পথে পুলিশের সামনে পড়লে পুলিশ তাদেরকে গ্রেপ্তার করেন।
পুলিশের হাতে আটক ১৫ জন প্রবাসী
গতকাল ১৫ আগস্ট সকালে ভিয়েতনাম শহরের পশ্চিম থেকে এই সকল প্রবাসীদের কে গ্রেপ্তার করেছেন ভিয়েত নামের পুলিশ। পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর পুলিশ তাদেরকে নিয়ে তাদের ক্যাম্পে চলে যান।
আটক হওয়া ১৫ জন প্রবাসীর মাঝে ১৪ জনের সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেলো দূতাবাসের থেকে।
তাদের নাম হলো….
শফিক
মামুন
আনোয়ার
নজরুল
সায়েফ
মোমিন
চাঁদ আলি
রাজু
সজিব
শহীদ
অমিক
ইসমাইল
কাদির ও আলী
দূতাবাস থেকে জানা যায় এরা সবাই ভিয়েতনামে প্রবেশ করেছেন দালালের মাধ্যমে এবং সে দেশে প্রবেশ করার পর দালালদের থেকে পাসপোর্ট এবং কিছু বলার থাকলে তা নিয়ে যায় পরে তারা হতাশ হয়ে পড়েন অনেকদিন ধরে তাদেরকে বিনা পারিশ্রমিকে এ কাজ করানো হয়েছে বলা হয়েছে অনেক পারিশ্রমিক দেয়া হবে সামনের কিন্তু তার কোন কাজ-ই হচ্ছিল না।
তাদেরকে আগে যে কথাগুলো বলেছিলেন বেশি বেতন দেওয়া কাজে নিয়োগ দেয়া হবে তার কোনোটাই হচ্ছিল না।
পরবর্তীতে তারা সবাই দেশে ফিরে যেতে চেয়েছিলান।
এসকল প্রবাসীরা সবাই ভিয়েতনামের রাজধানী ভং তাও হ্যানয়ে ঢাকা বাংলাদেশ দূতাবাসের দিকে যাওয়ার জন্য গত 15 ই আগস্ট রাতে থাকার স্থান থেকে দূতাবাসের দিকে দুপুরবেলায় যাএা হয়।
বাংলাদেশ দূতাবাসের পথ 540 ঘণ্টারও বেশি সময় তা যে জায়গায় ছিলেন সে জায়গা থেকে দূতাবাসের দ্রুতপায়ে ছিল 1677 কিলোমিটার এর পথ।
রওয়ানা হওয়ার পর থেকে অনেক সময় একসাথে থাকার সময় রাত হয়ে যাওয়ায় তারা "হো চি মিন" এলাকায় যাত্রাবিরতি করে অবস্থান করেন।
একসাথে থাকার পর সবাই যখন আবার সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে ভিয়েতনাম থাকা বাংলাদেশ দূতাবাসের দিকে রওনা হন।
কিছু সময়ের পর যখন তারা সবাই মিলে বাসে উঠেন বিষয়টি সেখানে পুলিশের নজরে পড়ে এবং পুলিশ তাদের বিষয়ে জানতে চান পরবর্তীতে দেখা যায় তাদের কারও হাতে পাসপোর্ট ছিল না পরে পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করে পুলিশ ক্যাম্পে নিয়ে যান।