ভর্তা-ডাল খেয়ে মাকে টাকা পাঠান এক প্রবাসী কিশোর! খুবই কষ্ট কর একটি ঘটনা
- কিছু দিন আগে ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়াতে এক প্রবাসী ভাইয়ের একটা ভিডিও, এক ভাইয়ের এক ভিডিওতে সেখানে তিনি বলেন দেশ থেকে সৌদি আরবের আসেন ভালো টাকা ইনকাম করার জন্য। কিন্তু সবার কপাল তো আর একরকম যায়না কাজ করে যে টাকা ইনকাম করেন সে টাকায় ভালো খাবার না খেয়ে ভর্তা, ডাল, সিদ্ধ আলু. খেয়ে বাকি জমানো টাকা গুলো দেশে থাকা নিযের পরিবারের জন্য পাঠান।
- ফেসবুকে প্রবাসী নামক 'প্রবাসী বাংলাদেশী' একটি পেজে রাশেদের 4 মিনিটের একটি সাক্ষাতকারের ভিডিও প্রকাশ করা হয় সেই ভিডিওতে জিনিস তার জীবনের কিছু কথা তুলে ধরেন পরিবারের কষ্ট দূর করার জন্য দেশ থেকে বিদেশে আসার এবং সেই আশায় তিনি কাজ করে যাচ্ছেন বর্তমানে নিজে কষ্ট পেলেও বাড়ির লোকদের জন্য পাঠাচ্ছেন টাকা তবে এ বিষয়ে তার কোন পুরোপুরি বাংলাদেশ থাকা বাড়ির ঠিকানা জানানো হয়নি।
- যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে এসে ভিডিওটিতে রাশেদ আলম বলেন বর্তমানে রাশেদ যে কাজ করে থাকেন সে কাজে তিনি মাসে তার ইনকাম হয় -০১ হাজার ৫০০ থেকে ৬০০ রিয়াল যেটি বাংলাদেশী টাকা হিসেব করলে দেখা যায় যে -৩৬ হাজার এর বেশি হবে। তবে তিনি দেশে পাঠিয়ে দেন -২৮ থেকে ৩০ হাজার টাকা তার ফ্যামিলির জন্য।)
- সাক্ষাৎকারের একপর্যায়ে ছেলেটিকে জিজ্ঞেস করা হয় আপনার প্রতি মাসে খরচ হয় কত টাকা ছেলেটি হাসি দিয়ে বললেন আমার প্রতি মাসে খরচ হয় সর্বোচ্চ ২০ থেকে ৩০ রিয়েল বিষয়টি শুনে সবাই হতবাক হয়ে গেছে।
রাশেদ বলেন আমি কখনো দেশে ফ্যামিলি দের জন্য -২৪ হাজারের নিচে পাঠাই না।
- তখন প্রশ্নকারীরা তাকে প্রশ্ন করেন যে এ টাকা তো একজন প্রবাসীদের মোবাইলে বিলে হয়ে যায় প্রতি মাসে তখন রাশেদ বলেন আমি মোবাইলে টাকা ডুকাই না আমার ওয়াইফাই দিয়ে মাস চলে যায়)
- এরপরে রাশেদকে প্রশ্ন কারীরা যে প্রশ্ন করলেন খাবারের বিষয়ে সে প্রশ্নের শুনে সে প্রশ্নের উত্তর শুনে সবাই হতবাক হয়ে যান এবং রাশেদ হাজারো নেটিজেনদের আপ্লুত করেছেন।
- খাবারের কথা জিজ্ঞেস করাতে রাশেদ হাসিমুখে বলেন দেশ থেকে কখন দেখা যাবে এসেছি তখন খুব ভালো ভালো খাবার খেতাম প্রতিবেলায় মাছ-মাংস থাকত কিন্তু বাড়ির আর্থিক সংকটের কথা চিন্তা করে এরপর থেকে আর খাওয়া হয় না মাছ মাংস।
একহন প্রতি দিন প্রতি বেলায় আমি একহন ভর্তা, ডাল, আলু সিদ্ধ দিয়ে কেটে যায়।
সাক্ষাতের দিনও রাশেদ বাত খেয়েছেন আলু - বেগুন দিয়ে।
- প্রশ্নকারীর একসময় তার ছেলেকে জিজ্ঞেস করেন আপনি দেশে কাকে বেশি মিস করেন কার কথা আপনার বেশি মনে পড়ে প্রশ্নের জবাবে রাশেদ বলেন তার মনের অবস্থা খুবই খারাপ ছিল তিনি সম্পূর্ণ কিছু জানো নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছেন তিনি আরো বলেন সব থেকে বেশি মিস করি আমার মাকে।
- এক পর্যায়ে তারা বলেন এত অল্প বয়সে তুমি তোমার মা বাবার কর্তব্য পালন করার জন্য বিদেশে এসেছ এ বয়সে তো বাংলাদেশের ছেলেপেলেরা দোকানপাটে বন্ধু-বান্ধবের সাথে আড্ডা দিয়ে আর তুমি এই বয়সে ১৭ বছর বয়স নিয়ে সৌদি আরব দেশের মা বাবার জন্য কষ্ট করতেছ এবং প্রকৃত টাকাগুলো স্বভাবের জন্য ফাটিয়ে দিচ্ছো সত্যিই বিষয়টি দেশের ছেলেদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারন তোমাকে দেখে শেখার অনেক কিছু রয়েছে তাদের।
- টাকা দেওয়ার ব্যাপারে রাশেদকে জিজ্ঞেস করা হয় তোমার ফ্যামিলির জন্য এত টাকা দিচ্ছো আমি লিতে কয়জন আছে বা কিভাবে নিচে রাশেদ হাসিখুশি ভাবে বলেন আমার ফ্যামিলিতে একটি বোন আছে এবং তার বিয়ের বয়স হয়ে গেছে তার জন্য অনেক টাকা দরকার আর ছোট একটা ভাই আছে সে লেখাপড়া করে ফ্যামিলির অবস্থা খুবই খারাপ তার কারণে আমি দেশ থেকে বিদেশে আছি আর মা বাবা আমার জন্যে অনেক কষ্ট করেছে ছোট থাকতেই মা আমাকে অনেক কষ্ট করে লালন-পালন করেছেন দশ মাস দশ দিন ধরে কষ্ট করে আমাকে জন্ম দিয়েছেন এবং বর্তমানে আমি আমার মায়ের বড় ছেলে এবং আমি যা ইনকাম করি সবসময় আমি আমার মা-বাবার জন্য পাঠিয়ে দিই নিজে কোন পার্টি টাকা রাখিনা আমি চাই আমার মা-বাবা হাসিখুশি থাকুক হাসিখুশি থাকলে আমি এখানে এসে হাসিখুশিভাবে থাকতে পারব তাই সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যেন ভালোভাবে থাকতে পারি।
সবাই বেসী বেসী শেয়ার করুম